(ফিক্হ শাস্ত্র- ১২১৮০৩)
বিষয়ঃ ইসলামিক স্টাডিজ-চতুর্থ পত্র
Subject Name: Study of Al-Fiqh
সময়ঃ ৩ঘন্টা ৩০মিঃ পূর্ণমানঃ ৮০
[দ্রষ্টব্যঃ প্রতিটি বিভাগের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ধারাবাহিকভাবে লিখতে হবে ]
১. ফিক্হ শাস্ত্রের চারজন ইমামের নাম লেখ।
২. 'তাহরাত' এর শ্রেণিবিভাগ বর্ণনা কর।
৩. ইজমার শর্তগুলো লেখ। চর
৪. অজু ভঙ্গের কারণসমূহ লেখ।
৫. গোসল ফরয হওয়ার কারণগুলো লেখ।
৬. 'লাইলাতুল ক্বদর' এর গুরুত্ব লেখ।
৭. কিয়াস এর হুকুম কী? লেখ।
৮. জামাতে সালাত আদায়ের বিধান লেখ।
৯. সাওম আধ্যাত্মিক গুরুত্ব বর্ণনা কর।
১০. ইজতিহাদ বলতে কী বুঝ?
১১. কাযা নামাজ আদায়ের পদ্ধতি বর্ণনা কর। ১
১২. সাহরির শেষ সময় সম্পর্কে ইমামদের অভিমত বর্ণনা কর।
১৩. আজান কখন এবং কীভাবে শুরু হয়? সংক্ষেপে লিখ।
১৪. নাজাসাত কত প্রকার ও কী কী?
১৫. আহলুল ইজমা হওয়ার শর্তগুলো লিখ।
১৬. মাযহাবসহ ইমামদের নাম লিখ।
গ-বিভাগ : রচনামূলক প্রশ্নাবলি (Broad Questions)- ( যেকোনো ৫টি প্রশ্নের উত্তর দাও )
১। ফিক্হ শাস্ত্রের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ আলোচনা কর।
২। ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এর জীবনী ও ফিক্হ শাস্ত্র তাঁর অবদান বর্ণনা কর।
৩। তায়াম্মুম করার পদ্ধতি ও তা ভঙ্গ হওয়ার কারণ লেখ।
৪। পাঁচওয়াক্ত সলাতের সময়সীমা বর্ণনা কর। এ
৫। কোন কোন পানি দ্বারা তাহারাত অর্জন বৈধ এবং কোন কোন পানি দ্বারা নয় তা বর্ণনা কর।
৬। মুসাফির ও রুগ্ন ব্যক্তির সলাতের বিধান লেখ।
৭। ইতিকাফ এর শর্ত, আদব ও মুস্তাহাবসমূহ বর্ণনা কর।
৮। সাওম কত প্রকার ও কী কী? সাওম এর কাফ্ফারা আদায়ের বিধান বর্ণনা কর।
৯। ইমাম শাফেঈ (রহ.) এর জীবনী লিখ। ফিক্হ শাস্ত্রে তাঁর অবদান আলোচনা কর।
১০। মাযহাব বলতে কী বুঝ? মাযহাব কয়টি ও কী কী? বৈশিষ্ট্যসহ বর্ণনা কর।
১১। ব্যক্তিগত ও সমাজজীবনে সালাতের গুরুত্ব আলোচনা কর।
১২। সাওমের ধর্মীয় ও সামাজিক গুরুত্ব বর্ণনা কর।
১৩। সাওম ভঙ্গের কারণসমূহ আলোচনা কর।
১৪। নামাজের মধ্যে অপছন্দনীয় (মাকরুহ) কার্যাবলি আলোচনা কর।
১৫। ইয়াওমুশ শাক বা সন্দেহের দিন বলতে কী বুঝ? ঐ দিন সাওম পালনের হুকুম বর্ণনা কর।
১৬। ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এর জীবনী লিখ। ফিকহশাস্ত্রে তাঁর অবদান মূল্যায়ন কর।
ক-বিভাগ : অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি (Brief Questions)- ( যেকোনো ১০টি প্রশ্নের উত্তর দাও )
১. মাযহাব কয়টি ও কি কি?
উত্তর: মাযহাব চারটি। যথা: ১. হানাফী, ৩. মালিকী,৩. শাফেয়ী ও ৪. হাম্বলী।
২. সুন্নাহ বলতে কী বুঝ?
উত্তর: রাসূল (সা.) এর কথা কাজ, মৌনসম্মতি ও সাহাবায়ে কেরামের কথা ও কার্যাবলিকে সুন্নাহ বলে।
৩. কাফফারাহ কী?
উত্তর: রোজা, শপথ, ইহরাম এবং অনিচ্ছাকৃত হত্যা, অধা অনিচ্ছাকৃত হত্যার মতো কোনো কিছুর কাজ লভান করাকে কাফফারাহ বলে।
৪. সাওমূল বেসাল কী?
উত্তর: উত্তর: রমজান মাস ছাড়া অন্য সময় ধারাবাহিকভাবে রোজা রাখাকে সাওমে বিসাল বলা হয়।
৫. সিজদায়ে সাহু কী?
উত্তর: নামাজের মধ্যে ভুলবশত কোন ওয়াজিব ছুটে গেলে অথবা, কোন ওয়াজিব আদায়ে বিলম্ব হলে কিংবা অতিরিক্ত হলে শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু শেষ করে ডানদিকে সালাম ফিরিয়ে যে দুটি সিজদা করতে হয় তাকে সিজদা বলে।
৬. ইফতার অর্থ কী?
উত্তর: রোজা ভঙ্গ করা।
৭. শাফাক কী?
উত্তর: মাগরিব নামাজের সময় পশ্চিম আকাশে যে লালিমা রেখা দেখা দেয়, সেই রেখা দূর হওয়ার পর যে সাদা শুভ্র রেখা দেখা যায় তাই শাফাক।
৮. সালাতুল উসতা কোনটি?
উত্তর: আসরের সালাত।
৯. তারাবীহ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: আরাম বা বিশ্রাম করা।
১০. ইতিফাক এর মেয়াদ কত দিন?
উত্তর: ১০ দিন।
১১. কুনুত অর্থ কী?
উঃ দাড়ানো
১২. ক্বিয়াস অর্থ কী?
উত্তর: কিয়াস অর্থ হলো-তুলনা করা, পরিমাপ করা, সামঞ্জস্যপূর্ণ করা সাধ্যনুযায়ী চেষ্টা করা।
১৩. ফিকহ শাস্ত্রের প্রচলিত রূপটির জনক কে?
উত্তর: ইমাম আবু হানিফা (রা.)।
১৪. আশরাফুল মাখলুকাত কারা?
উত্তর: মানবজাতি।
১৫. আশরাফুল মাখলুকাত শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: সৃষ্টির সেরা জীব।
১৬. আল্লাহ মানুষকে কি দিয়ে তৈরি করেছেন?
উত্তর: মাটি দিয়ে তৈরি করেছেন।
১৭. হানাফী মাযহাবের প্রবর্তক কে?
উত্তর: ইমাম আযম আবু হানিফা (রা.)।
১৮. ইসলামি আইন তত্ত্বের প্রবর্তক কে?
উত্তর: ইমাম আজম আবু হানিফা (রা.)।
১৯. আ'ম কাকে বলে?
উত্তর: যা একই প্রকারের বহু একককে শামিল করে তাকে আ'ম বলে।
২০. খাস বলতে কী বুঝ?
উত্তর: যা এককভাবে কোনো একটি নির্দিষ্ট এককের জন্য তৈরি হয়েছে।
২১. খাস শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: নির্দিষ্ট।
২২. নস শব্দের অর্থ কী ও কত প্রকার?
উত্তর: উঠানো, প্রকাশ করা, বর্ণনা। নস ৪ প্রকার।
২৩. মুশতারাক কাকে বলে?
উত্তর: এমন শব্দকে যা বিভিন্ন প্রকারের একাধিক বস্তুকে বদলের ভিত্তিতে শামিল করে।
২৪. ইজমা কাকে বলে/অর্থ কী?
উত্তর: দ্বীনি কোন বিষয়ে কুরআন হাদিসের মূলনীতির আলোকে সমসাময়িক মুসলিম আলিমগণের সর্বসম্মত ঐকমত্যের নাম ইজমা। ইজমা অর্থ ঐকমত্য পোষণ করা।
২৫. ইজমার প্রকৃত ভিত্তি বলতে কী বুঝ?
উত্তর: কিয়াস।
২৬. ইমাম আবু হানিফার প্রকৃত নাম কী?
উত্তর: ইমাম আবু হানিফার প্রকৃত নাম নোমান।
২৭. কিয়াস কাকে বলে?
উত্তর: শরিয়তের পরিভাষায় কিয়াস হলো উদ্ভুত হুকুমের মধ্যে শাখাকে মূলের সঙ্গে তুলনা করা। ১৯৯
২৮. ইজতিহাদ কী?
উত্তর: যে কিয়াসের মূল ও শাখার কার্যকারণেই পার্থক্য অসম্ভব হওয়ার অকাট্যভাবে প্রমাণিত নয়।
২৯. আদালত শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: বিচারালয়।
৩০. নাজাসাত কাকে বলে?
উত্তর: মানুষ বা জীবজন্তুর শরীর থেকে যে ময়লা বা নাপাক বস্তু বের হয় একে শরিয়তের ভাষায় নাজাসাত বলে।
৩১. নাজাসাত কত প্রকার?
উত্তর: ২ প্রকার।
৩২. ইসতিনজা কাকে বলে?
উত্তর: পেশাব ও পায়খানার পবিত্রতা অর্জনকে ইসতিনজা বলে।
৩৩. হাদাসে আসগর অর্থ কী?
উত্তর: হাদাসে আসগর অর্থ ছোট নাপাকী।
৩৪. হাদাসে আকবর কাকে বলে?
উত্তর: ঐ সকল অবস্থাকে হাদাসে আকবর বলে, যার কারণে গোসল ফরজ হয়।
৩৫. পবিত্র পানির গুণগুলো কী কী?
উত্তর: স্বাদ, গন্ধ, রং।
৩৬. অজুর ফরজ কয়টি ও কি কি?
উত্তর: অজুর ফরজ চারটি। যথা-মুখমন্ডল ধৌত করা, দুই হাতের কনুই পর্যন্ত ধোয়া, মাথা মাসেহ করা, দু পায়ে টাকনুসহ ধোয়া।
৩৭. গোসল কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর: গোসল ৪ প্রকার। ১. ফরজ গোসল, ২. ওয়াজিব গোসল, ৩. সুন্নাত গোসল, ৪. মুস্তাহাব।
৩৮. তায়াম্মুম কাকে বলে?
উত্তর: পবিত্র হওয়ার নিয়তে পবিত্র মাটি দ্বারা মুখগুদ ও উভয় হাত কুনুইসহ মাসেহ করা।
৩৯. সালাত ইসলামের কততম রুকন?
উত্তর: দ্বিতীয়।
৪০. 'সালাতুল উসতা' কোনটি?
উত্তর: আসরের সালাত।
৪১. সালাতের নিষিদ্ধ সময় কয়টি?
উত্তর: সালাতের নিষিদ্ধ সময় তিনটি।
৪২. শবে কদর কি?
উত্তর: শবে কদর হলো হাজার মাসের চেয়েও উত্তম নজরী।
৪৩. বিতর শব্দের অর্থ কি?
উত্তর: বিতর শব্দের অর্থ বিজোড়।
৪৪. জুমুআহ শব্দের অর্থ কি?
উত্তর: জুমুআহ শব্দের অর্থ সমবেত হওয়া বা জমায়েত হওয়া।
৪৫. জুমআর নামাজ কখন ফরজ হয়েছিল?
উত্তর: হিজরতের পূর্বে মক্কায় ফরজ হয়েছিল।
৪৬. 'সিজদায় সাহু' কী?
উত্তর: নামাজের মধ্যে ভুলবশত কোন ওয়াজিব ছুটে গেলে অথবা, কোন ওয়াজিব আদায়ে বিলম্ব হলে কিংবা অতিরিক্ত হলে শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু শেষ করে ডানদিকে সালাম ফিরিয়ে যে দু'টি সিজদা করতে হয় তাকে সিজদা সাহু বলে।
৪৭. আজান কী?
উত্তর: নামাজের জন্য মুয়াজ্জিন যে শব্দাবলির মাধ্যমে মানুষকে আহ্বান করে তাকেই আজান বলে।
৪৮. ইমাম হবার হকদার ব্যাক্তি কে?
উত্তর: অধিক জ্ঞানবিশিষ্ট বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যাক্তি।
৪৯. তাহিয়াতুল মসজিদ কি?
উত্তর: মসজিদে প্রবেশের পর বসে পড়ার পূর্বে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করাকে তাহিয়াতুল মসজিদ বলে।
৫০. কুনূত ও কূউদ শব্দের অর্থ কি?
উত্তর: কুনূত শব্দের অর্থ দাঁড়ানো। কূউদ শব্দের অর্থ শেষ বৈঠকে বসা।
৫১. 'বিদআত শব্দের অর্থ কি?
উত্তর: বিদআত অর্থ নতুন সৃষ্টি তথা যা ইতঃপূর্বে ছিল না এমন কাজ।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার চূড়ান্ত- সাজেশন্স
[ক-বিভাগের জন্য আমাদের সাজেশন থেকে ও বিগত ২০২১, ২০১৯, ২০২০ এবং ২০১৭ সালে আসা ক-বিভাগগুলো পড়বেন।
খ-বিভাগ
(যেকোনো ৫টি প্রশ্নের উত্তর দাও।)
১. ফিক্হ শাস্ত্রের চারজন ইমামের নাম লেখ।
২. 'তাহরাত' এর শ্রেণিবিভাগ বর্ণনা কর।
৩. ইজমার শর্তগুলো লেখ।
৪. অজু ভঙ্গের কারণসমূহ লেখ।
৫. গোসল ফরয হওয়ার কারণগুলো লেখ।
৬. 'লাইলাতুল কদর' এর গুরুত্ব লেখ।
৭. কিয়াস এর হুকুম কী? লেখ।
৮. জামাতে সালাত আদায়ের বিধান লেখ।
৯. সাহরির শেষ সময় সম্পর্কে ইমামদের অভিমত বর্ণনা কর।
১০. আজান কখন এবং কীভাবে শুরু হয়? সংক্ষেপে লিখ।
গ-বিভাগ
(যেকোনো ৫টি প্রশ্নের উত্তর দাও।)
১. ফিহ্ন শাস্ত্রের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ আলোচনা কর।
২. ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এর জীবনী ও ফিক্ শাস্ত্রে তাঁর অবদান বর্ণনা কর।
৩. তায়াম্মুম করার পদ্ধতি ও তা ভঙ্গ হওয়ার কারণ লেখ।
৪. পাঁচওয়াক্ত সলাতের সময়সীমা বর্ণনা কর।
৫. কোন কোন পানি দ্বারা তাহারাত অর্জন বৈধ এবং কোন কোন পানি দ্বারা নয় তা বর্ণনা কর।
৬. মুসাফির ও রুগ্ন ব্যক্তির সলাতের বিধান লেখ।
৭. ইতিকাফ এর শর্ত, আদব ও মুস্তাহাবসমূহ বর্ণনা কর।
৮. সাওম কত প্রকার ও কী কী? সাওম এর কাফফারা আদায়ের বিধান বর্ণনা কর।।
৯. ব্যক্তিগত ও সমাজজীবনে সালাতের গুরুত্ব আলোচনা কর।
১০. সাওমের ধর্মীয় ও সামাজিক গুরুত্ব বর্ণনা কর।
১১. সাওম ভঙ্গের কারণসমূহ আলোচনা কর।
১২. নামাজের মধ্যে অপছন্দনীয় (মাকরুহ) কার্যাবলি আলোচনা কর।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন